ঝড়ে পড়ে যাওয়া বিদ‍্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে

22nd May 2020 বর্ধমান
ঝড়ে পড়ে যাওয়া বিদ‍্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে


পার্থ ব‍্যানার্জী ( জামালপুর ) :  স্কুলের পরিচালন সমিতি সহ প্রাক্তন পড়ুয়াদের দাবী গাছ বিদ‍্যালয়ের । প্রধান শিক্ষক বলছেন গাছ অবশ‍্য ই বিদ‍্যালয়ের । তবুও কাউকে কিছু না জানিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিক্রি করে দিচ্ছেন অত‍্যন্ত গোপনে ঝড়ে পড়ে যাওয়া ইউক‍্যালিপটাস গাছ।এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল‍্য জামালপুরের আবুঝহাটি ২ পঞ্চায়েতের গোপালপুর এলাকায়। বিদ‍্যালয় পরিচালন কমিটির পক্ষ থেকে তদন্তের দাবী জানিয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে জামালপুর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে । স্কুল পরিচালন কমিটি সহ প্রাক্তন পড়ুয়াদের দাবী স্কুল ক‍্যাম্পাসে এই গাছটিকে লাগানো হয়েছিল ছাত্রদের উদ‍্যোগেই । আমফান এর দাপটে সুদীর্ঘ গাছটি হেলে পড়ে গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ‍্যালয় ভবনে । রাতারাতি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সমর পাল পরিচালন কমিটিকে কিছু না জানিয়ে লোক লাগিয়ে গাছ কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ । অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিষয়টি অত‍্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব‍্যবস্থা গ্ৰহণের আশ্বাস দিয়েছেন জামালপুর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক শুভঙ্কর মজুমদার ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান । স্কুল পরিচালন কমিটির সদস‍্য অরুনাভ পাল অভিযোগ করেছেন , পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সমর পাল কাউকে কিছু না জানিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছিলেন এই গাছ । যারা গাছ কাটছিলেন তাদের কাছে জানতে চাইলেও তারা কোন সদুত্তর দেননি । অন্ধকারে রেখে গাছ বিক্রি করা হচ্ছিলো বলে অভিযোগ তাঁর । এ বিষয়ে গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ‍্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন , গাছ কেটে বিক্রি করা প্রসঙ্গে তিনি কিছুই জানেন না । উপপ্রধান ফোন করে বলার পর তিনি শুধুমাত্র পড়ে যাওয়া গাছটি কেটে বিদ‍্যালয়ের ভিতরেই যাতে রেখে দেওয়া হয় সেই কথা জানিয়েছিলেন । "টেন্ডার করতে বলেছি কি ? " এই প্রশ্ন ই রেখেছেন উপপ্রধান সমর পালের প্রতি ।যে কাজ তিনি করেছেন তা সম্পূর্ন ই নিজের মত করে ।যখন তিনি এই বিদ‍্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন তখন প্রাক্তনীদের উদ‍্যোগেই এই গাছ লাগানো হয়েছিলো বলে দাবী করেছেন বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাপসকুমার ঘোষ । সামগ্ৰিক ঘটনা সম্পর্কে যার দিকে অভিযোগ এর আঙুল উঠছে সেই উপপ্রধান সমর পাল জানিয়েছেন   " গাছ পঞ্চায়েতের । ওটা স্কুলের গাছ নয় । তাই স্কুলকে বলার কোনো প্রয়োজন ই নেই । " আমফানে পড়ে যাওয়া গাছ যেহেতু স্কুল ভবনে হেলে পড়েছিল তাই কেটে বিক্রি করা হচ্ছিলো । সব মিলিয়ে লকডাউনের মধ‍্যে আমফান এ পড়ে যাওয়া গাছ নিয়ে চাপান উতোর শুরু হয়েছে গোপালপুর এলাকায় । স্থানীয় বাসিন্দারাও পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের এই ভূমিকার নিন্দা করেছেন । স্কুলের ই গাছ বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।

ভিডিও লিঙ্ক 👇👇

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=740097746759238&id=219524035483281





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।